সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি॥ ঝালকাঠি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) দুর্নীতির আখরায় পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সাদেকা সুলতানা ও একাডেমিক ইনচার্জ শাহিন বাদশা স্বামী-স্ত্রী। প্রশিক্ষণার্থীদের অভিযোগ স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে টিটিসিকে পারিবারিক সম্পত্তি মনে করছেন। তাই তারা টিটিসিকে ইচ্ছা অনুযায়ী পরিচালনা করছেন। সরেজমিন টিটিসিতে গিয়ে নানা অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে। ২ দিন আগে একটি দালাল চক্রের মাধ্যমে ৬ জন নারীকে সিলেট থেকে ট্রেনিংয়ের জন্য নিয়ে আসা হয়। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে দালাল চক্রকে ভ্রামমাণ আদালত জরিমানা করে।
দালালদের জরিমানা করার পর এনডিসি মো. বশির গাজী সাংবাদিকদের জানান,এ ঘটনায় টিটিসি অধ্যক্ষসহ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হবে। টিটিসিতে বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মরত প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,ক্যাম্পাসে থাকা গাছ কেটে বিক্রি করা,প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়,নিজ বাসভবনের নিচ তলার গেস্টরুমে মহিলা হোস্টেল বানানো,৩০দিন মেয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স ৩ দিনেই শেষ করে সদন দেওয়াসহ নানা অভিযোগ। এছাড়াও প্রশিক্ষণার্থীদের মাত্র তিন দিন ক্লাস নেওয়া হয়।
তাদের এ তিন দিনেরথাকা-খাওয়ার টাকা রেখে বাকি টাকা ফেরত না দিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়। টয়লেটকে কেন্টিন বানিয়ে ভাড়া দেওয়াসহ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ট্রেনিং কোর্সের প্রশিক্ষণার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতেরও অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয় জানতে চাইলে টিটিসি অধ্যক্ষ সাদেকা সুলতানা বলেন, ‘৩০ দিনের প্রশিক্ষণ ৩ দিন করিয়ে সনদ দেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়।’ তবে নিজের বাসার নিচ তলার গেস্ট রুমে মহিলা হোস্টেল বানানোর
বিষয় তিনি বলেন,‘ঝালকাঠিতে পুরুষ-মহিলা একই হোস্টেলে থাকার পরিবেশ নেই। তাই এটা আমি করেছি। , বাথরুমে কেন্টিন করে ভাড়া দেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের যাতে বাইরে যেতে না হয় সে জন্য এ ব্যবস্থা করা হয়েছে।’ অবৈধ ভর্তির ব্যাপারে তিনি বলেন,‘সোমবার আমি ছিলাম না। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
Leave a Reply